নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে বহু পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর বনানী থানাধীন বেলতলা এলাকার চিহ্নিত পতিতা শিল্পী রানী। তার পেশা দেহ ব্যবসা। বনানী থানায় বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটলেও পরিবর্তন হয়নি পেশা। বনানী-গুলশান থানার একাধিক মামলার আসামি এই শিল্পী রানীর সাথে টাকার বিনিময়ে কেউ মেলামেশা করতে গেলে গোপনে সেই ভিডিও করে পরে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া টাকার বিনিময়ে মেলামেশা করে পরে তার করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফেঁসে নিঃস্ব হয়েছে বেশ কয়েকজন। তার এসব কর্মকাণ্ডের সাথে স্থানীয় ক’জন সন্ত্রাসীও জড়িত আছে। মূলত তারা একটি সিন্ডিকেট মিলে পরিকল্পিত ভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়। কখনো কখনো পতিতা শিল্পী রানীর ঘরে না বুঝে কোন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে মেলামেশা করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐসব সন্ত্রাসীরা সেই ব্যক্তিকে হাতে নাতে অবৈধ কাজে ধরার নামে বিচার শালিশ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তাদের আরেকটি কৌশল।
তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে এখন মান সম্মানের ভয়ে নিরবেই টাকা দিয়ে যাচ্ছে অনেকে। শিল্পী রানীর বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। দৈনিক প্রত্যয়ের অনুসন্ধানে শিল্পী রানীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি শিল্পী রানীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রমজান আলী নামক এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিল্পী রানী মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভিডিও দিয়ে বিভিন্ন লোককে ব্লাকমেইল করে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে এমনকি একি কায়দায় তিন ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
রমজান আলী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, আমি লাকড়ি ব্যবসা করি সে সুবাদে গত ১৫-০৯-২৩ইং অনুমান ১২:৩০ ঘটিকায় শিল্পী রানী আমাকে খড়ি কেনার উদ্দেশ্যে বাড়িতে ডাকে। আমি তার বাড়িতে যাই এবং ২০০ টাকার বিনিময়ে শারীরিক মেলামেশা করি। শিল্পী রানী খুব চালাকির সহিত আমার গোপন ভিডিও করে এবং দশদিন পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গত ০১-১০-২৩ইং আবার পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। উক্ত বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনানী থানার ওসি বরাবর আবেদন করেছেন রমজান আলী।
রমজান আলী বলেন, “শিল্পী রানী আমার বস্তির বাড়ি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। নয়তো ধর্ষণ মামলা দিয়ে আমাকে এলাকাছাড়া করবে বলছে।”
অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে বনানীর বেলতলা এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছিল শিল্পী রানী। পরে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই মামলার মিমাংসা হয়েছিল। মানসম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে আপোষ করেছিলেন। সে ব্যক্তি গনমাধ্যমে তার পরিচয় গোপন রাখতে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেছেন।
শিল্পী রানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি টাকার বিনিময়ে প্রতিবেদকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। আবার শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে হলেও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ না করতে বলেন।